সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে ইন্টার্ন চিকিৎসক মাকাম এ মাহমুদ মাহীকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এর আগে পুলিশ তাকে আটক করেছিল। ধর্ষিতা কিশোরী নবম শ্রেণির ছাত্রী। অসুস্থ নানির সঙ্গে সে রবিবার দিবাগত রাতে হাসপাতালে অবস্থান করছিল। এ সুযোগে ইন্টার্ন চিকিৎসক মাহী তাকে ধর্ষণ করেন। গতকাল দুপুরে মাহীকে পুলিশে দেওয়ার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়। মাহী ময়মনসিংহ জেলার মুক্তাগাছার মোখলেছুর রহমানের ছেলে। তিনি নাক, কান ও গলা বিভাগের ইন্টার্ন চিকিৎসক। ওই কিশোরীর বাবা অভিযোগ করে বলেন, ‘ওসমানী হাসপাতালের তৃতীয় তলার ৮ নম্বর ওয়ার্ডে অসুস্থ নানির সঙ্গে ছিল আমার মেয়ে। তাদের সঙ্গে আর কেউ ছিল না। রবিবার দিবাগত মধ্যরাতে ফাইল দেখার কথা বলে তাকে একই ফ্লোরে নিজের কক্ষে ডেকে দরজা বন্ধ করে ধর্ষণ করে মাকাম এ মাহমুদ মাহী। সকালে আমরা আসার পর মেয়ে ঘটনাটি আমাদেরকে জানায়।’ জানা গেছে, ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর গতকাল সকালে ওই কিশোরীর স্বজন, চিকিৎসক ও পুলিশকে নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বৈঠকে বসে। কিন্তু সেখানে কোনো সুরাহা না হওয়ায় অভিযুক্ত মাহীকে পুলিশে দেওয়া হয়। হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে মাহবুবুল হক বলেন, ওই কিশোরীকে ওসিসিতে পাঠানো হয়েছে। ঘটনা খতিয়ে দেখতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। ওই ওয়ার্ডের সিসিটিভির ফুটেজও সংগ্রহ করা হচ্ছে।
ধর্ষণের অভিযোগে ইমাম আটক : এদিকে সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলার কালিগঞ্জ এলাকার হাজারীচক পশ্চিম মহল্লা নতুন মসজিদের ইমাম হাসান আহমদকে এক স্কুলছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগে আটক করেছে পুলিশ। পুলিশ জানায়, গত রবিবার স্কুল থেকে ফেরার পথে স্থানীয় স্কুলের ৪র্থ শ্রেণির এক ছাত্রী নিখোঁজ হয়। এরপর এলাকায় মাইকিং করেও তার কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। রাতে ইমামের রুমের ভেতর থেকে হাত-পা ও মুখ বাঁধা অবস্থায় ওই স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করেন এলাকার লোকজন। অভিযুক্ত ইমাম হাসান আহমদ উপজেলার বারঠাকুরী ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামের কুতুব উদ্দিনের ছেলে। জকিগঞ্জ থানার ওসি হাবিবুর রহমান হাওলাদার জানান, জিজ্ঞাসাবাদে ইমাম হাসান আহমদ জানিয়েছে, স্কুল ছুটির পর তিনি মেয়েটিকে রুমের মধ্যে ডেকে নেন। পরে শরবতের সঙ্গে ঘুমের ট্যাবলেট খাইয়ে অচেতন করে তাকে ধর্ষণ করেন। আটক ইমামকে আদালতে হাজির করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
যুবক গ্রাহকদের মোট পাওনা ১ হাজার ১০০ কোটি টাকা। এর বিপরীতে প্রতিষ্ঠানটির নামে ব্যাংকের নগদ টাকা পাওয়া গেছে খুবই সামান্য। ৪৮টি বাণিজ্যিক ব্যাংকে মাত্র ৭৮ লাখ টাকার সন্ধান পায় কমিশন। আর স্থাবর সম্পত্তির যে সন্ধান পাওয়া গেছে গ্রাহকের দায়ের তুলনায় তা সামান্য। এ বিষয়টি নিয়েও আদালতে একাধিক মামলা রয়েছে। মামলা মাথায় নিয়ে যুবকের বেশির ভাগ কর্মকর্তা পলাতক রয়েছেন।